দখিনের খবর ডেস্ক ॥ চিকিৎসক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লাগোয়া ক্লিনিকে আর কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে যন্ত্রনায় কাতরাতে ছিলেন একজন প্রসূতি মা। মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর রাত ১১টার পরে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর অসুস্থ প্রসূতি নাজমাকে (২২) নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মীরা মজিদকে না পাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে ওই রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। দিশেহারা ও বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েন রোগীর সাথে থাকা স্বজনরা।
জরুরী বিভাগ থেকে একাধিকবার ডাঃ মীরা মজিদকে ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন সেবাসদন ক্লিনিকে দেখতে পাওয়া যায়। এতে রোগীর স্বজনদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যা ভিন্ন রূপও নিতে পারতো ওই সময়ে। এমন সময় খবর পেয়ে বাসা থেকে ছুটে আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমআরও মানবিক ডাঃ খ্যাত গোপাল শীল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই প্রসূতিকে কিছুটা সুস্থ করে তুলে পরে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। ডাঃ গোপাল শীল খবর পেয়ে বাসা থেকে হাসপাতালে ছুটে এসে চিকিৎসা না দিলে প্রসূতি ও তার অনাগত সন্তানের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এদিকে অভিযোগ রয়েছে ডাঃ মীরা মজিদ হাসপাতালের চেয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশীরভাগ সময় ডিউটি করে থাকেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও কান্ডজ্ঞানহীন আচরনে সবাই অতিষ্ঠ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অপরদিকে ডিউটি না থাকার পরেও এক সংকটাপন্ন প্রসূতিকে পরম যতেœ চিকিৎসাসেবা দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ডাঃ গোপাল শীল নন্দিত হলেন বিপরীতে একই হাসপাতালের অপর ডাঃ মীরা মজিদ ডিউটিতে থেকেও সেবা না দিয়ে হলেন নিন্দিত। অথচ দু’জনই মানবসেবার ব্রতি নিয়ে চিকিৎসক হয়েছেন। সেই ব্রতিকে মেনে একজন তার দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিষ্ঠাবান হলেও অপরজন ঠিক তার উল্টো একজন মানবিক অপরজন অমানবিক।
এ বিষয়ে ডাঃ মীরা মজিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিরুত্তর থাকেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম কবির হাসান বলেন তদন্তপূর্বক ডা.মীরা মজিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডা. গোপাল শীল জানান বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রসূতি নাজমা (২২) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশেনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। সে ও তার নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছেন। নাজমা উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের বড় করফাকর গ্রামের সুজন হাওলাদারের স্ত্রী।
Leave a Reply